Dental Diseases (দাঁতের রোগ সমুহ)

দাঁত আনুষঙ্গিক ব্যথা

রোগীরা যখন দাঁত ব্যথা নিয়ে ডেন্টিস্টদের কাছে যান, তখন অনেক সময়ে দেখা যায় তার ব্যথাটা ঠিক দাঁতে নয়, মাড়িতে। এরকম মুখের মাংসপেশি কিংবা মুখের ভেতর অর্থাৎ চোয়ালের জয়েন্টে ব্যথা হলেও রোগীরা দাঁত ব্যথা ভেবেই ডাক্তারের কাছে আসেন।

দাঁত ব্যথার কারণ

শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই দাঁত ব্যথার প্রধান কারণ কেরিস বা ছিদ্র হয়ে যাওয়া। যাকে সাধারণভাবে দাঁতে পোকাও বলা হয়। ব্যথার প্রথমেই দাঁতে একটা শিরশিরানি অনুভূতি হয়। কারণ দাঁতের ভেতরে যে নার্ভ এন্ড আছে তা নানা কারণে বেরিয়ে আসতে পারে। আর তখনই ঠান্ডা বা গরম খাবার থেকে শিরশিরানি অনুভূত হয়।

দাঁতের ভেতরে যে টিস্যু বা পাল্প আছে, তার ভেতরকার রক্তজালকগুলো ফুলে ওঠে। তার ফলে সেই জায়গায় একটা প্রেসার তৈরি হয়। তা থেকে তীব্র ব্যথা হয়। সেই সময় রোগী যদি ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়ে দোকান থেকে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে নেয়, তাতে ব্যথা হয়তো সাময়িকভাবে কমে, কিন্তু ভেতরে সমস্যাটা থেকেই যায়। তা থেকেই পাল্পে সংক্রমণ হয়। এরপর এই সংক্রমণই রুটে অর্থাৎ দাঁতের গোড়ায় ছড়িয়ে পড়ে, তারপর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায় ।

দাঁতের গোড়ায় সংক্রমণ যেমন দেখা যায় তেমনি দাঁতের গোড়ায় অ্যাবসেস এবং তা থেকে অনেক ক্ষেত্রে ফিসচুলা পর্যন্ত হতে দেখা যায় । তাতে মুখ, গ্ল্যান্ড ইত্যাদি ফুলে তো যায়ই এমনকী কখনও কখনও গাল দিয়ে পুঁজ গড়াতেও দেখা যায়। দাঁতের সংক্রমণের ক্ষেত্রে পুঁজ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তবে সংক্রমণ হলে ব্যথা হবেই।

ডেন্টাল ক্যাভিটিসের অর্থ কী? Meaning of Dental Cavities

ডেন্টাল ক্যাভিটিস হল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা যা দাঁতের শক্ত পৃষ্ঠে পাওয়া যায় যা ছোট গর্ত বা খোলা অংশে পরিণত হয়। দাঁতের গহ্বরগুলি ক্যারিস বা ক্ষয় নামেও পরিচিত এবং এটি সারা বিশ্ব জুড়ে সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। এটি সব বয়সের মানুষের মধ্যে ঘটতে পারে। যদি দাঁতের গহ্বরগুলিকে চিকিৎসা না করা হয় তবে সেগুলি আকারে বড় হতে পারে এবং দাঁতের গভীর স্তরকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি গুরুতর দাঁত ব্যথা, সংক্রমণ এবং এমনকি দাঁতের ক্ষতিও হতে পারে। দাঁতের গহ্বরের বিরুদ্ধে আপনাকে রক্ষা করার জন্য নিয়মিত আপনার দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ভাল দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা প্রয়োজন।

ডেন্টাল ক্যাভিটিস জটিলতাগুলি কী কী? Complications of Dental Cavities

দাঁতের গহ্বরের জটিলতাগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

  • চরম যন্ত্রণা
  • দাঁত ফোড়া (ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে একটি পুঁজ পকেট) গঠন
  • ফোলা
  • ভাঙা দাঁত
  • দাঁতের ক্ষতি
  • খাবার চিবানোর ক্ষেত্রে সমস্যা
  • দাঁতের ক্ষতির কারণে পাশের দাঁতের স্থানান্তর
  • পুষ্টি সমস্যা এবং ওজন হ্রাস

কিভাবে ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ ? How to Prevent Dental Cavities

নিম্নলিখিত টিপস দাঁতের গহ্বর প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে:

  • দিনে অন্তত দুবার ফ্লোরাইডেড টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, বা প্রতিবার খাবারের পরে 
  • প্রতিবার খাবার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 
  • দাঁত ফ্লসিং। 
  • প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার আপনার ডেন্টিস্টের কাছে যান। 
  • ফ্লোরাইডযুক্ত কলের জল পান করুন। 
  • ডেন্টাল সিলান্ট (গহ্বর প্রতিরোধ করার জন্য দাঁতের চিবানো পৃষ্ঠে একটি প্রতিরক্ষামূলক প্লাস্টিকের আবরণ প্রয়োগ করা হয়) ডেন্টিস্ট দ্বারা প্রয়োগ
  • ঘন ঘন চুমুক দেওয়া এবং স্ন্যাকিং এড়িয়ে চলুন। 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান। 
  • চিনিযুক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন। 
  • ফ্লোরাইড চিকিৎসা করান। 
  • চিনিমুক্ত, জাইলাইটল-ভিত্তিক গাম চিবান। 
  • অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। 

দাঁতের মাড়ি যন্ত্রণা

কখনও কখনও দেখা যায় রোগীর দাঁত ঠিক আছে, কিন্তু সমস্যা মাড়িতে। মাড়িতে প্রথমে একটা প্রদাহ হল। তা থেকে ব্যথা। তার যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না হয় তবে তা আরো ভেতরে চলে যায়। মাড়ির তলায় দাঁতের চারপাশে যে পেরিওডন্টাল স্পেস আছে সেখানকার ফাইবার বা তন্তুতে সংক্রমণ ঘটে। এই ফাইবার বা তন্তুই দাঁতকে ধরে রাখে। এই অবস্থায় যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না হয়, তবে তা আরো ভেতরে গিয়ে চারপাশের হাড়ে সংক্রমণ ঘটিয়ে দেয়। ফলে মাড়ির চারপাশে যে বোনি ক্যাভিটি আছে, তার ক্ষয় হতে শুরু করে এবং ক্ষয় নীচের দিকে নামতে থাকে। এর ফলে মাড়ি থেকে পুঁজ বেরোনো, মাড়িতে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায় । আমাদের দেশে মাড়ির সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি

দাঁত বা মাড়ির সংক্রমণ থেকে সমস্যা

দাঁত বা মাড়ির সমস্যা প্রধানত দু’ধরনের হয়। প্রদাহজনিত ও ইন্টারনাল ডিজেনারেশন মহিলাদের ক্ষেত্রে মাড়ির সমস্যা বেশিই হতে দেখা যায়। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তনই এরজন্য দায়ী। যেমন গর্ভাবস্থায় যেহেতু দেহে নানা ধরনের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে তাই মাড়ির প্রদাহ বা জিঞ্জিভাইটিস বেশি হতে দেখা যায়। তেমনি ঋতুবন্ধকালে বিভিন্ন হরমোনের অভাবে টিস্যুর ক্ষয়ের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়, তাই অভ্যন্তরীণ বিযুক্তকরণ বা ইন্টারনাল ডিজেনারেশন দেখা যায় ।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মাড়ির সমস্যা ক্রনিক অর্থাৎ অনেকদিন ধরে জিঞ্জিভাইটিসে ভুগছেন, তাদের হার্টের সমস্যা বেশি হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী হলে তাদের সময়ের আগেই কম ওজনের সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।

আবার যেসব মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংক্রমণ যেমন বেশি হয় তেমন সারতে সময় লাগে। মাড়ির ক্ষেত্রেও তেমনি ঘটে।

মুখের মাংসপেশির ব্যথা

এখন মানুষ অনেক সচেতন তাই তারা অল্পেতেই ডাক্তারবাবুর কাছে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রোগীর মাড়ির বা দাঁতে – কোনো সমস্যা নেই তবু দাঁতে ও মাড়িতে ব্যথা। কারণ হল মায়োফেসিয়াল পেইন অর্থাৎ মুখের মাংসপেশিতে ব্যথা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই ব্যথা স্ট্রেসের কারণে কিংবা বিভিন্ন পেশার কারণে হচ্ছে। বিশেষত যে সব পেশায় বিভিন্ন ভঙ্গিমাতে (ঝুঁকে, বাঁকা ভঙ্গিমায়) কাজ করতে হয়। সে-সব ক্ষেত্রে ঘাড়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হবে। সেই মাংসপেশি মুখ ও পিঠের মাংসপেশির সঙ্গে জড়িত বলে ব্যথা সে-সব জায়গাতেও ছড়িয়ে যায়। এমনকী এই ব্যথা কোমর পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। তার ফলেই মুখের মাংসপেশিতে ও তা থেকে মাড়িতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের সমস্যা এখন এত বেশি দেখা যাচ্ছে যে, এই সমস্যা নিয়ে একটি নতুন বিষয় পড়ানো হচ্ছে— নিউরোমাসকুলার ডেন্টিস্ট্রি

মুখের কিছু মাংসপেশি আমাদের চোয়াল খোলা-বন্ধ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মুখের মাংসপেশির ব্যথা হলে রোগী প্রথমে চোয়ালে একটা টান বা স্প্যাজম অনুভব করে। তারপর তা শুধু দাঁতে নয়, মাথায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই সমস্যা কিন্তু মাঝেমধ্যেই দেখা যায়।

জয়েন্টের ব্যথা

অনেক রোগীর আবার মুখের জয়েন্টের ভেতরে ব্যথা হতে দেখা যায়। এই জয়েন্টের ভেতর নানা কারণে ব্যথা হতে পারে। যেমন অন্যান্য জয়েন্টের মতো এখানেও আর্থ্রাইটিসের জন্য ব্যথা হতে পারে। এছাড়া এই জয়েন্টের ভেতরে থাকে একটা ডিস্ক ও কিছু তরল। এই ডিস্ক যদি ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তবে তার জন্য এর ভেতরে যে লিগামেন্ট আছে তা আক্রান্ত হয় । তার ফলেই জয়েন্ট ও তার চারপাশে একটা ব্যথা হতে শুরু করে ও তা ক্রমশ ছড়াতে থাকে। এই ব্যথা বেশ কষ্টদায়ক। এতে হাঁ করতে বা হাই তুলতে খুবই কষ্ট হয়। ব্যথা আরো বেড়ে গেলে একটা কটকট আওয়াজও শোনা যায়। খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে এই ব্যথায় চোয়াল আটকেও যেতে পারে।

এই ধরনের ব্যথা কম হলেও বিরল নয়। সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় দাঁতের ব্যথা। তারপরই এই ফেসিয়াল রিজিয়নে ব্যথা বিশেষত টি.এম.জয়েন্টের ব্যথা চোখে পড়ে।

বাচ্চাদের কেরিস হওয়ার কারণ

শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই দাঁতে ব্যথা হওয়ার সাধারণ কারণ কেরিস। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কেরিস হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন বাচ্চারা বেশি চকলেট, লজেন্স এইসব খেয়ে থাকে। তার ফলে আঠালো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ তাদের দাঁতে লেগে থাকে। সেখানে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাক্টেরিয়া যে অ্যাসিড তৈরি করে তা বাচ্চাদের দাঁতের এনামেল স্তরটা গলিয়ে দেয়। ফলে দাঁতে ক্যাভিটি তৈরি হয়। এই ব্যাক্টেরিয়াকেই অনেকেই চলতি কথায় দাঁতের পোকা বলে। এই ক্যাভিটি বড় হতে হতে ক্রমশ পাল্পে পৌঁছে যায়। যেখানে স্নায়ু ও রক্তজালক ইত্যাদি থাকে। ফলে সেখানে শিরশির করে ব্যথা শুরু হয় ।

অনেক ছোট বাচ্চা অর্থাৎ যারা বোতলে দুধ খায়, দেখা যায় তাদের শান্ত রাখতে মুখে দুধের বোতল ধরিয়ে দিয়ে মায়েরা নিশ্চিন্ত থাকেন। কিন্তু এই দুধে যে মিষ্টি থাকে তা একটানা দাঁতে লেগে থেকে একই ভাবে ক্যাভিটি তৈরি করতে পারে। তাই মায়েরা সচেতন না হলে দশ মাস বয়স থেকেই বাচ্চার দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ৷

দাঁত ব্যথার উপসর্গ

দাঁত ব্যথায় প্রধানত ব্যথা, ফোলা ও কখনো পুঁজ দেখা যায়। তবে মাড়ির সংক্রমণ হলে এইসব সমস্যার সঙ্গে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে রক্তপাতও হতে পারে। কারণ প্রদাহ হলে মাড়ির সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রক্তজালক ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হতে দেখা যায়। এই রক্তপাত স্বতঃস্ফূর্ত ও শর্তসাপেক্ষে (স্পন্টেনিয়াস ও নন স্পন্টেনিয়াস) দু’ধরনের হতে পারে। কোনো কিছু চিবোতে গিয়ে রক্তপাত যেমন হতে পারে আবার কিছু শারীরিক সমস্য (পারপিউরা, হিমোফিলিয়া ইত্যাদি) থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তপাতও হতে দেখা যায়।

দাঁত মাড়ির চিকিৎসা

আগে দাঁতে ব্যথা হলে দাঁত তুলে ফেলা হত। এখন মানুষ দাঁত বাঁচাতে চায়। তাই সব থেকে বেশি যে চিকিৎসা করা হয়, তার নাম রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট। দাঁতের ভেতর ব্যথা বা সংক্রমণ হওয়ার অর্থ হল পাল্পের ভেতরের টিস্যু পর্যন্ত সংক্রমণ চলে গেছে। ফলে সেই মৃত বা রোগাক্রান্ত টিস্যুকে বের করে পরিষ্কার করে তাতে ওষুধ দিয়ে, জীবাণুমুক্ত করে, তারপর তাকে রুটের ভেতর এনে ফিলিং করা হয়। সচেতন রোগীরা অনেকেই এই রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকেন।

মাড়ির কোনো সমস্যা হলে মাড়ির চিকিৎসা করতে হবে। প্রথমে স্কেলিং করা হয়। তার পরবর্তী ধাপে যখন ব্যাক্টেরিয়া রুটের গায়ে আটকে থেকে সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাফনেস তৈরি করে তখন এই সংক্রামিত জায়গাটি চেঁছে পরিষ্কার করে সেখানকার ব্যাক্টেরিয়াল কলামটি সরিয়ে দেওয়া হয়। তার ফলেই মাড়ি আবার দাঁতের গায়ে ঠিকমতো চেপে বসে যায়। এই চিকিৎসাটিকে বলে রুটপ্লেনিং। আরও গভীরে সংক্রমণ চলে গেলে মাড়ির এক ধরনের অপারেশন, ব্লাড কিউরেটার করা হয়। এর ফলে মাড়ির ভেতরের খারাপ টিস্যুগুলো কিউরেট অর্থাৎ সরিয়ে দিলে মাড়ির মৃত টিস্যুগুলো পরে আস্তে আস্তে রোগমুক্ত হয়ে যায়।

অনেক ক্ষেত্রে মাড়ি সরে বা দাঁতের রুট বেরিয়ে এসে এরকম হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাড়ির নানা ধরনের সার্জারি করা হয় একে বলে পেরিওপ্লাস্টিক সার্জারি। এর মাধ্যমে মাড়িকে আবার আগের লেভেলে ফিরিয়ে আনা যায়। তবে এক্ষেত্রে রোগীর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। কারণ অপারেশন পরবর্তী যত্ন, নিয়মকানুন নিষ্ঠার সঙ্গে মানা খুবই প্রয়োজন। তবেই অপারেশনে সাফল্য আসে।

কোনো চিকিৎসাতেই স্থায়ী নিরাময় সম্ভব নয়। যেমন ফিলিং-এর গড় স্থায়িত্ব পাঁচ থেকে সাত বছর। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি চলে। ফলে এই ফিলিং ক্ষয় হয় আবার কখনো খুলেও যেতে পারে। আর তখনই ব্যথাও ফিরে আসতে পারে।

দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব না হলে যে কোনো অ্যানালজেসিক অর্থাৎ ব্যথা কমার ওষুধ এমনকী প্যারাসিটামল খেলেও দাঁতের ব্যথা সাময়িকভাবে কমবে। কিন্তু তাও যদি না থাকে তবে দাঁতের ব্যথার জন্য লবঙ্গ তেল লাগানো যায়। এতে ব্যথা কমবে। তাছাড়া যাদের পাল্পাটাইটিস হয়েছে তারা খুব তীব্র ব্যথার সময় কুলকুচি করার জন্য মুখে জল নিলে কষ্ট কিছুটা কম মনে হবে। তবে বেশি ব্যথার সময় শুয়ে না থেকে বসে বা দাঁড়িয়ে পড়লে কিংবা আধশোয়া অবস্থায় থাকলে ব্যথা কিছুটা কম অনুভূত হয়।

দাঁত ব্যথায় পেস্টের ভূমিকা

দাঁতের শিরশিরানি ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় রিফ্লাক্স বা অ্যাসিডিটির কারণে যে ঢেকুর ওঠে, তার জন্য- যাদের অম্বল বেশি হয় তাদের দাঁতে যে এনামেল থাকে তা অম্বলের জন্য ক্ষয় হতে শুরু করে। ফলে ঠান্ডা খাবার খেতে গেলে এমনকী সাধারণ তাপমাত্রার জলেও দাঁত শিরশির করতে থাকে। সেই সময় ডিসেন্সিটাইজড পেস্ট দাঁতে লাগালে সেই শিরশিরানি চলে যায়। কারণ এই ধরনের পেস্টে দাঁতের যে নার্ভের মুখগুলো বেরিয়ে এসেছিল তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই পেস্ট ব্যবহার বন্ধ করে দিলে সেই সমস্যা আবারও ফিরে আসে। তাই রোগের কারণ নির্ণয় করে তার উপযুক্ত চিকিৎসা করানো জরুরি।

অনেক সময় দেখা যায়, ব্যথা কমার ওষুধ দিয়ে ব্যথা কমে যাওয়ার ফলে রোগী হয়তো তার নানা ব্যস্ততার কারণে ডেন্টিস্টের কাছে আর যেতেই পারলেন না। সেক্ষেত্রে ভেতরে ভেতরে সংক্রমণটা কিন্তু বাড়তেই থাকে এবং তা ছড়িয়ে পড়ে। আর তা থেকেই আবার তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে।

এছাড়াও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যানালজেসিক অর্থাৎ ব্যথা কমার ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও নানা সমস্যা দেখা যেতে পারে। কখনো এই সমস্যা তৎক্ষণাৎ হতে পারে কখনো বা পরে। তাই এই ধরনের ব্যথা কমানোর ওষুধ বারেবারে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

মুখ ও জিহ্বায় ফোলাভাব ও ব্যথা

মুখ বা জিহ্বায় ফোলা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। মুখে বা জিভে কোনও পিণ্ড বা ফোলা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো দরকার। কখনও কখনও এটি ক্যান্সারের উপসর্গও হতে পারে।

মুখের ফোস্কা ছাল ওঠা

কারও মুখে ক্রমাগত ফোস্কা পড়লেও অশনিসংকেত হতে পারে। মুখের ঘা আলসারের উপসর্গ। এর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি ১০ দিন পরেও মুখের আলসার ভালো না হয়, গিলতে অসুবিধা হয় বা কিছু খাওয়ার পর মুখে ব্যথা হয়, তাহলেও বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে ডাক্তার দেখান। 

মাড়ি থেকে রক্তপাত

মাড়ি থেকে রক্ত ​​পড়লে রোগের লক্ষণ হতে পারে। ব্রাশ করার সময় অনেকের মাড়ি থেকে রক্ত ​​বের হয়। এর চিকিৎসা না হলে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই সমস্যায় কোনও যন্ত্রণা হয় না। তাই উপেক্ষা করার প্রবণতা বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নাঈম ডেন্টাল কেয়ার আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সেরা সেবা প্রদান করে। আমাদের অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টরা বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে, আপনি একটি সুন্দর হাসি এবং সুস্থ মুখগহ্বর উপভোগ করছেন।

Company

Business Hours

Return Policy

Terms and Conditions

Privacy Policy

About Us

About Us

Copyright Notice

Payment Methods

Information

Work Hours

Terms and Conditions

Business Hours

Copyright Notice

About Us

Contact Info

নাঈম ডেন্টাল কেয়ার © 2024